ডেস্ক  নিউজ:

আগামী অর্থবছর থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের বিদ্যমান মাথাপিছু সম্মানী ভাতার পাশাপাশি ১০ হাজার টাকা করে বছরে দুটি উৎসব ভাতা প্রদান করা হবে। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে প্রস্তাবিত ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এ তথ্য জানান।

বাজেট প্রস্তাবে তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও পরবর্তী প্রজন্মের কল্যাণে আমাদের চলমান কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। পাশাপাশি অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের উন্নত আবাসন সুবিধা সৃষ্টির লক্ষ্যে সারাদেশে ১০ হাজার ফ্ল্যাট নির্মাণের পরিকল্পনাও গ্রহণ করা হয়েছে।

অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সঠিকভাবে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার লক্ষ্যে ১৯৭১ সালে গণহত্যা-নির্যাতন, বধ্যভূমি, গণকবর চিহ্নিতকরণ, এ সংক্রান্ত তথ্যভাণ্ডার তৈরি, প্রদর্শনী এবং প্রকাশনার লক্ষ্যে গণহত্যা-নির্যাতন ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক গবেষণাকেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগও গ্রহণ করে হয়েছে।

এসময় অর্থমন্ত্রী সামাজিক সুরক্ষার আওতা বাড়ানো এবং দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের জন্য বেশকিছু প্রস্তাব করেন। তা হলো- বয়স্ক ভাতাভোগীর সংখ্যা ৩১ লাখ ৫০ হাজার হতে বাড়িয়ে ৩৫ লাখে উন্নীত করা। বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা নারী ভাতাভোগীর সংখ্যা ১০ শতাংশ বাড়িয়ে ১২ লাখ ৬৫ হাজার করা। হিজড়া জনগোষ্ঠীর বিশেষ ভাতা খাতে বরাদ্দ ২ কোটি ৩৫ লাখ বাড়িয়ে ১১ কোটি ৩৫ লাখে উন্নীত করা। বেদে ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জন্য বিশেষ ভাতার খাতে বরাদ্দ ৬ কোটি ৩২ লাখ বাড়িয়ে ২৭ কোটি টাকায় উন্নীত করা। ক্যান্সার, কিডনি, লিভার সিরোসিস, স্ট্রোকে প্যারালাইজড ও জন্মগত হৃদরোগীদের আর্থিক সহায়তা কর্মসূচির বরাদ্দ ২০ কোটি বাড়িয়ে ৫০ কোটি টাকা করা।

‘উন্নয়নের মহাসড়কে বাংলাদেশ : সময় এখন আমাদের’ নাম দিয়ে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের জন্য ৪ লাখ ২৬৬ কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

অর্থমন্ত্রী হিসেবে এটি মুহিতের একাদশ বাজেট। আর বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের দুই মেয়াদে টানা নবম বাজেট। এর আগে মুহিত ১৯৮২-৮৩ এবং ১৯৮৩-৮৪ অর্থবছরে দুবার বাজেট পেশ করেছিলেন।

আগামী অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেট চলতি অর্থবছরের মূল বাজেট ৩ লাখ ৪০ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা থেকে ২৬ শতাংশ বেশি। আর চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেট ৩ লাখ ১৭ হাজার ১৭৪ কোটি টাকা থেকে ৮৪ হাজার কোটি টাকা বেশি।